আশ শেফার মধু ক্রয় পরবর্তী নির্দেশনাঃ
আশ শেফার মধু ক্রয় পরবর্তী নির্দেশনাঃ
সংরক্ষণ, ব্যবহার, সতর্কতাঃ
এই মধু অপরিশোধিত র’ হানি। এতে পানি মেশানো হয়নি, গরমে তোলা হয়নি, কোনো প্রসেসিং করা হয়নি। র’ হানি যত কম ছোঁয়ায় থাকে, তত দীর্ঘদিন তার এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর প্রাকৃতিক শক্তি অক্ষত থাকে।
এর সঠিক সংরক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১.১ কাচের বোতলই নিরাপদ
দীর্ঘমেয়াদে প্লাস্টিক রাসায়নিক ছাড়ে। তাই মধু কাচের বোতলে রাখাই সবচেয়ে নিরাপদ।
মধু যদি প্রথমে প্লাস্টিকে পাওয়া থাকে, দুই মাসের মধ্যে শেষ করুন; বেশি সময় হলে কাচে স্থানান্তর করুন।
১.২ হাত, পানি বা মুখের লালা লাগানো যাবে না
সামান্য পানি বা লালা গেলেই ফারমেন্টেশন শুরু হয়।
চামচ যেন পুরোপুরি শুকনো থাকে—এটাই মধুর সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা।
১.৩ রান্নাঘরের চুলার পাশে রাখবেন না
অতিরিক্ত তাপ এনজাইম ভেঙে দেয়। মধুর শক্তি মরে যায়।
১.৪ রোদে দেওয়া – ন্যাচারাল প্রসেসিং
১০–১৫ দিনে একবার বোতলের মুখ খুলে আধা ঘন্টা–এক ঘন্টা রোদে রাখলে মধু আরও স্থিতিশীল হয়।
এটা প্রাকৃতিক ডিহিউমিডিফিকেশন—শুকনো পরিবেশে এনজাইম আরও সক্রিয় থাকে।
অনেক পুরনো মৌচাষিরা এটাকে “রোদে পাকানো” বলে—এটা বাস্তব, কার্যকর, নিরাপদ।
১.৫ রাতে বোতল খোলা রাখবেন না
টিকটিকি মধু খায়। এরা মুখ দিলে ব্যাকটেরিয়াল কন্টামিনেশন শুরু হয়, আর দ্রুত গাঁজন হয়।
মধুকে কখনোই খোলা অবস্থায় রাতে রেখে দেবেন না।
১.৬ তাপমাত্রা
ঘরের সাধারণ ঠান্ডা-শুষ্ক পরিবেশই সেরা।
ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন হলে নরমাল চেম্বার—ডীপ ফ্রিজ নয়।
অতিরিক্ত ঠান্ডা (বিলো জিরো) বা অতিরিক্ত গরম (ফুটন্ত তাপ) – দুটোই মধুর এনজাইম হত্যা করে।
২.১ কুসুম গরম পানিতে
যে তাপ ঠোঁটে সহনীয়—এই তাপমাত্রাই নিরাপদ। ফুটন্ত পানিতে দিলে এনজাইম নষ্ট হয়।
২.২ খালি পেটে বা ভরা পেটে—দুইভাবেই
শরীর মধু দুই অবস্থাতেই সহজে গ্রহণ করে।
২.৩ পানীয়/খাবার মিষ্টি করতে ব্যবহার
মধু দিয়ে চা, দুধ, লেবুপানি, শরবতসহ যেকোনো পানীয় মিষ্টি করা যায়।
চিনির তুলনায় স্বাদে মধু নরম, তাই পরিমাণ একটু বেশি লাগে—এটাই স্বাভাবিক।
২.৪ দৈনিক নিয়ম
দিনে ২–৩ সময় স্থির করে নিন।
ন্যূনতম ২ টেবিল চামচ (৪ চা চামচ), সর্বোচ্চ ৪ টেবিল চামচ (৮ চা চামচ)।
২.৫ কিছু জনপ্রিয় উপায়
– সকালে কুসুম গরম পানির সাথে
– রাতে দুধ (হালকা গরম, ফুটন্ত নয়)
– লাল চা বা হার্বাল ড্রিঙ্কে
২.৬ ইবাদতমূলক অংশ
অনেকে বোতলে তিনবার সূরা ফাতিহা পড়ে ফুঁ দিয়ে রাখেন—এটা ব্যক্তিগত অভ্যাস, ইচ্ছা অনুযায়ী করতে পারেন।
র’ হানি ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী শিল্প-পর্যায়ে প্রসেস না করলে
লেবেল ও প্যাকেজিং দেয়া যায় না।
লেবেল দিলে এটা "প্যাকেটজাত খাদ্য" হিসেবে গণ্য হয় এবং তখন প্রসেসিং বাধ্যতামূলক হয়ে যায়, যা র’ হানির প্রকৃতি নষ্ট করে।
AshShefa শুধুই র’ হানি উৎপাদন ও বিক্রি করে।
তাই লেবেল ছাড়া, খোলা পণ্য হিসেবে দেয়া হয়।
– বোতলের মুখে বা পাশে মধু শুকিয়ে থাকলে পরিষ্কার ভেজা কাপড় দিয়ে মুছবেন।
– টিস্যু মধুর সাথে কাজ করে না, তাই এটি দিয়ে মোছা ঠিক নয়।
– রাতে খোলা রাখবেন না।
– ব্যবহার শেষে ঢাকনা টাইট করে লাগিয়ে রাখবেন।
– দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো; তার বেশি রাখলে কাচে স্থানান্তর করুন।
মধু সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ, সন্দেহ বা দুশ্চিন্তায় সরাসরি ফোন দিতে পারেনঃ ০১৯১৯৪৪২৩৮৫, ০১৩০৪০৪৫৭৮৭
AshShefa মধু নিয়ে আপনি যেমন সিরিয়াস—আমরাও ঠিক ততটাই সিরিয়াস।